0

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপর মাঠে গড়াচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ষষ্ঠ আসরের ফাইনাল। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ইংল্যান্ড মুখোমুখি হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। বিশ্বকাপে মঞ্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কখনোই হারাতে পারেনি ইংল্যান্ড।
শুধু তাই নয়, এবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। তাই ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ক্যারিবীয়-গেরো খুলতে মরিয়া ইংল্যান্ড। অন্যদিকে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে এবারের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ চায় তার ধারাবাহিকতা ধরে রেখে শিরোপা জিততে।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের বিশ্বকাপের ম্যাচে এর আগে চারবার মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল। ওই ম্যাচগুলো সম্পর্কে একটু জেনে নেয়া যাক-
কেনিংটন ওভাল, লন্ডন - ১৫ জুন, ২০০৯
এই আসরে স্বাগতিক ছিল ইংল্যান্ড। সুপারে এইটের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওই ম্যাচে বৃষ্টি আইনে ৫ উইকেটে জিতেছিল ক্যারিবীয়রা।
এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান সংগ্রহ করেছিল ইংল্যান্ড। বৃষ্টির কারণে পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়িয়েছিল ৯ ওভারে ৮০ রান। চার বল বাকি থাকতেই জিতে গিয়েছিল ক্যারিবীয়রা।
প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম, গায়ানা - ৩ মে, ২০১০
এই আসরে স্বাগতিক ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০০৯ সালের মত এই ম্যাচেও ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে জয় পেয়েছিল ক্যারিবীয়রা। গ্রুপ পর্বের এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধিারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান সংগ্রহ করেছিল ইংল্যান্ড। বৃষ্টির কারণে পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়িয়েছিল ৬ ওভারে ৬০ রান। এক বল বাকি থাকতে আট উইকেট হাতে রেখে এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে গিয়েছিল গেইলরা।
পাল্লেকেলে স্টেডিয়াম, শ্রীলঙ্কা - ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১২
সেবার বিশ্বকাপরে স্বাগতিক দল ছিল শ্রীলঙ্কা। সুপার এইটের ম্যাচে দেখা হয়েছিল ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এই ম্যাচে ক্যারিবীয়রা জিতেছিল ১৫ রান। ওই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে জনসন চার্লস ও গেইলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম, মুম্বাই: ১৬ মার্চ, ২০১৬
চলতি আসরের সুপার টেন পর্বের ম্যাচে দেখা হয়েছিল ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ওই ম্যাচে গেইলের সেঞ্চুরিতে ক্যারিবীয়রা জিতেছিল ৬ উইকেটে। ওইদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান সংগ্রহ করেছিল। পরে ক্যারিবীয়রা ১১ বল বাকি থাকতে জয় তুলে নিয়েছিল।
জানিয়ে রাখা ভালো, এর আগে উভয় দলই একবার করে ফাইনাল খেলে একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০১০ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড। আর এর পরের আসরেই ২০১২ বিশ্বকাপে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয়বারের মত ফাইনালে উঠে দ্বিতীয়বার শিরোপা জয়ের হাতছানি দলের সামনেই। তাই দু’দলই চাইবে নিজেদের সর্বোচ্চ লড়াই দিয়ে শিরোপা জিততে।
এছাড়া বিশ্বকাপের বাইরেও টি-টোয়েন্টিতে এই দুই দলের এখন পর্যন্ত ১৩বার দেখা হয়েছে। এর মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছে নয়বার। আর ১৩ ম্যাচে ইংল্যান্ডের জয় মাত্র চারটি। পরিসংখ্যান ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে কথা বললেও পিছিয়ে নেই ইংল্যান্ড। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচ হারলেও পরের ম্যাচগুলোতে টানা জয় তুলে নিয়ে নিশ্চিত করেছে ফাইনালের টিকেট। তাই এই সাফল্য বাড়িত করে আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে ইয়ান মরগানদের।

Post a Comment

Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.